প্রকাশিত: Tue, Apr 23, 2024 12:08 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 11:44 PM

সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, রেডিও এবং টেলিভিশন মিডিয়া পাঠক-দর্শকদের রুচি বা দাবি অনুযায়ী যদি তাদের কনটেন্ট বানায়, তা সঠিক হবে না

লুৎফর রহমান হিমেল : সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, রেডিও এবং টেলিভিশন মিডিয়া পাঠক-দর্শকদের রুচি বা দাবি অনুযায়ী যদি তাদের কনটেন্ট বানায়, তা সঠিক হবে না। কারণ জনতার বেশির ভাগই বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন ও হুজুগে চিন্তার অধিকারী। বরং গণমাধ্যমগুলো নিজেরা যেটা ভালো মনে করবে, সে অনুযায়ী কনটেন্ট বানাবে। কারণ প্রকৃত গণমাধ্যম সঠিক চিন্তার অধিকারী। তারাই জনরুচি তৈরি করবে। গণমাধ্যমের বড় একটি কাজই হলো, ‘টু এডুকেট দ্য অডিয়েন্স’ বা সমাজের পাঠক-দর্শকদের শেখানো। সমাজের মানুষকে সুরুচিসম্পন্ন করে গড়ে তোলার কাজটি করার জন্য গণমাধ্যমের ওপর অলিখিত দায়িত্ব দেওয়া আছে। এ ক্ষেত্রে ভালো বা কল্যাণকর জনদাবিগুলো অবশ্য মিডিয়া বিবেচনায় নেবে। সেগুলো থেকে কনটেন্ট বানাবে। 

আমাদের দেশে এখন যেটা চলছে, পাবলিক যেটা বেশি ‘খাচ্ছে’ সে ধরনের কনটেন্ট বানানোর দিকেই বেশি করে ঝুঁকছে মিডিয়া। এসব কনটেন্ট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকও তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন আর মিলিয়ন ভিউয়ের সুসংবাদ ঘোষণা করছেন! এভাবে জনরুচি অনুসারে কনটেন্ট বানাতে থাকলে মাস মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো পার্থক্য থাকবে না। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার পরিসর যতো বড়ই হোক, তা মাস মিডিয়ার সঙ্গে পারবে না। একজন ফেসবুকার বা ইউটিউবারের মিলিয়ন রিয়েকশন আর একটি মিডিয়ার হাজার রিয়েকশন কী সমান? সমান না। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় জবাবদিহিতা নেই, বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, আস্থা নেই। কিন্তু মিডিয়ায় সেই বিশ্বাসযোগ্যতা বা জবাবদিহিতাটা আছে। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক